নতুন বছর থেকে নতুন ভাবে শুরু করুন অভিভাবকত্ব! রইল সহজ ৫টি পরামর্শ

প্রত্যেক অভিভাবকই চান তার সন্তানের বিকাশ হোক সুষমভাবে। কিন্তু অনেকসময়ই সন্তানদের মধ্যে দেখা যায় নেতিবাচক আচরণ। সেসকল সমস্যার সমাধান করার জন্য অনেকসময়ই অভিভাবকদের মধ্যে তৈরি হয় দ্বিধাদ্বন্দ্ব বা সঠিক নির্দেশের অভাববোধ। ফলে অভিভাবকত্ব কখনও কখনও হয়ে ওঠে বোঝা। হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন অভিভাবকেরা। আর সেজন্য তাদের প্রয়োজন ইতিবাচক অভিভাবকত্ব সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা। এবার আমরা দেখব সহজ পাঁচটি ইতিবাচক পেরেন্টিং পরামশ।

১। বাচ্চাদের মারধর বা উচ্চস্বরে বকাবকি করা বন্ধ করুন। অনেক সময়ই আমরা আমাদের ধৈর্য বা মেজাজ হারিয়ে ফেলি এবং বাচ্চাদের গায়ে হাত তুলি। এর ফলে অনেকসময় হয়ত হয়ত সাময়িক ভাবে সমস্যার সমাধানও হয়, কিন্তু ওদের মনে এর প্রভাব পড়ে গভীরভাবে। অভিভাবকদের প্রতি ওদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়। ফলে একটা সময় মারধরেও কাজ হয়না বরং আগ্রাসী মনোভাবের সৃষ্টি হয়। এসকল ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে ওদের ফ্যামিলি রুল সম্বন্ধে বোঝান এবং তা মেনে না চললে সাময়িকভাবে আপনাদের সহযোগিতা বন্ধ করুন।

২। বারবার একই কথা বলার অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। আগে ভেবে নিন আপনি ঠিক কি বোঝাতে বা করাতে চাইছেন আপনার সন্তানকে দিয়ে। একবারই সেই নির্দেশ দিন সুস্পষ্টভাবে। এতে ওঁদের মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি হবে এবং বিরক্ত হওয়ার প্রবণতা কমবে।

৩। বাড়ির কিছু কাজকর্মের দায়িত্ব নিয়মিত দিন ওদের। ওদের এটা বোঝান, ওইসকল কজাগুলো ওরা ছাড়া অসম্পূর্ণ থাকবে। প্রয়োজনে রিওয়ার্ড পয়েন্টের ব্যাবস্থা চালু করতে পারেন।

৪। আপনার সন্তানের মধ্যে স্মার্টফোনের আসক্তি যেন তৈরি না হয়, সে বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখুন। ছোট বাচ্চাদের কোনভাবেই আপনার নিজস্ব স্মার্টফোনটিকে খেলার সামগ্রীর মতন হাতে তুলে দেবেন না। বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট টাইমটেবিল মেনে চলার পরামর্শ দিন। গল্পচ্ছলে ওদের সাথে সাইবার সিকিউরিটির বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারেন। অভিভাবকেরা নিজেরা বাচ্চাদের সামনে অতিরিক্ত স্মার্টফোন দেখা বন্ধ করলে বাচ্চাদের মধ্যে তা দেখার প্রকোপ কমবে।

৫। নতুন বছর থেকে বাড়ির সকল সদস্য শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার দিকে নজর দিন। হাল্কা যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন নিয়মিত শুরু করলে শরীর ও মন দু ই ভালো থাকবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন শারীরিক কসরতের রুটিন রাখতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজেরা বাড়িতে বানানো সুষম-সুস্বাদু খাবার খাওয়াড় চেষ্টা করুন। অন্তত একটি করে মিল সবাই মিলে একসাথে গল্প করতে করতে খাওয়ার চেষ্টা করুন।